ডিমলা নীলফামারী জেলাধীন উত্তর সীমামত্মবর্তী একটি অবহেলিত উপজেলা । উপজেলার উত্তরে ভারতের কুচবিহার জেলা, পূর্বে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলা, দক্ষিনে জলঢাকা উপজেলা ও পশ্চিমে ডোমার উপজেলা ।
নামকরণঃ নামকরণ সম্পর্কে তিনটি জনশ্রম্নতি আছে। এগুলো হলো-
ক. ডিমলা মৌজায় তেলস্নাই নামক এটি বিল আছে । বহুকাল পূর্বে এবিলে দেশ- বিদেশ হতে বহু অতিথি পাখি আসতো এবং অসংখ্য ডিম দিত । কথিত আছে যে,এসব হাঁস ও ডিমের আকর্ষণে দুর দূরান্ত হতে অনেক সওদাগর আসতো। ডিমের প্রতুলতার কারণে স্থানের নাম দিয়েছিলেন ডিমলা ।
খ. বৃটিশ ভারত শাসনামলে অত্র এলাকায় মহারাজা ছিলেন শ্রী জানকি বলস্নব সেন । তার ডিম্বাকৃতির একটি সুরম্য অট্টালিকা ছিল । ডিম্বাকৃতির অট্টালিকার আকার অনুসারে এলাকার নাম হয় ডিমলা ।
গ. কিংবদমিত্ম আছে যে-বহু পূর্বে অত্র এলাকা একটি সাঁওতাল পরগনা ছিল। পাশর্ববর্তী থানা ডোমার এলাকা ছিল ‘‘ডোম রাজা’’ । সাঁওতাল পরগনার রাজা ছিলেন ডিমল সাঁই । ডিমল সাঁই এক সুন্দরী এক দুহীতা ছিলো কমলাফুলি । কথিত আছে যে, কমলাফলিকে অপহরণ করে ডোমারের ডোমরাজা একদা ঘোড়ার কোচগাড়ীতে করে পশ্চিমবঙ্গের ‘‘ কেচবিহারে’’ বিহার করেন । ফলে সে স্থনের নাম করণ হয় কুচবিহার। এঘটনার পর হতে ডিমলসাই এর নামানুসারে অত্র এলাকার নাম হয় ডিমলা।
ঐতিহাসিক তেভাগা আন্দোলন ডিমলা উপজেলা থেকে সংঘটিত হয় । যার নেতৃত্বে ছিলেন তন্বারায়ন রায়, জামশেদ আলী চাটি প্রমূখ । এক পর্যায়ে আন্দোলনে তন্বারায়ন শহীদ হন। এ উপজেলায় নুরলদীনের সারাজীবন গ্রন্থের নুরলদীনের পদচারনা ছিল এবং তিনি তেভাগা আন্দোলনকে সংগঠিত করেছিলেন । নুরলদীন ডিমলা উপজেলায় তেভাগা আন্দোলনের অনুপ্রেরণা ছিল ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস